সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন
Headline
Headline
সিলেটে জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে কোন পরাশক্তি দেশের প্রতি চোখ রাঙ্গাতে পারবে না কেন্দ্রীয় জিসাস যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কায়সল আহমদকে কুলাউড়া জিসাসের সংবর্ধনা মহান বিজয় দিবসে জায়ফর নগর জামায়াতের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে গোলাপগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা গ্রে/প্তা/র মহান বিজয় দিবসে জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন সিলেটের শ্রদ্ধাঞ্জলি ও আলোচনা সভা সাংবাদিক উন্নয়ন সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে জুড়ী উপজেলা কামিনীগঞ্জ বাজার ০৭ নং ওয়ার্ড কমিটি গঠন ও কর্মী সম্মেলন জুড়ীতে পশ্চিম বাছিরপুর প্রবাসী ও যুব উন্নয়ন সংস্থা ফ্রী মেডিকেল ও ব্লাড ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হাজার হাজার জনতার উপস্থিতিতে জুড়ীতে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সন্মেলন

শ্রীমঙ্গলের ফুঁসকুড়ি চা বাগানের শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র বন্ধ রেখেই সরকারী বেতন ভাতা হরিলুট

Reporter Name / ১৬ Time View
Update : সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন

এ.কে.অলক, মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ফুসকুড়ি চা বাগানে শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও শ্রম অধিদপ্তর এর অধীনস্থ শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের অনিয়ম দূনীতির অভিযোগ উঠেছে। এখানে মেডিকেল অফিসারসহ ১২ টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র ২জন কর্মচারী তাও অনিয়মিত। আর খাতা কলমে রয়েছে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ডাক্তারের নাম। তিনি হলে নিবাস চন্দ্র পাল,সিনিয়র মেডিকেল অফিসার হিসেবে অতিরিক্তি দায়িত্বে ফুসকুড়ি চা বাগানের শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়োগ থাকলেও বিগত ৬ বছরেও দেখা মিলে নি একদিনও এমন অভিযোগ বসবাসরত চা শ্রমিকের। আর উনার পরিবর্তে মাঝে মধ্য শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের অফিস খুলেন ফার্মাসিষ্ট নিবাস তিনি মনগড়া সকল রোগের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।

শ্রম কল্যাণ সংগঠক কবির আহমদের উপর স্থানীয়দের অভিযোগ শেষ নেই। তিনি সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করেও দীর্ঘ ৮বছর ধরে কাজ করছেন রাজঘাটের সীমান্ত এলাকায় তার নিজস্ব দু’টি লেবু বাগানে। শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের ভিতরে ২টি কোয়ার্টারে রেখেছেন ২ স্ত্রীকে। কবীর আহমেদ সেখানে শুধু রাত যাপনই করেন থাকেন। ভোরে ঘুম থেকে উঠেই চলে যান মোটর সাইকেল যোগে সীমান্তের লেবু বাগান পরিচর্যাসহ ব্যবসার তাগিদে আর আসেন রাতে। ফুঁসকুড়ি চা বাগানে শ্রমিকদের চিকিৎসা,বিনোদন করার জন্য স্থাপন করা হয় এই শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রটি প্রতিনিয়ত বন্ধ থাকে। এই কেন্দ্রে চা বাগানের ছেলে মেয়েরা ইনডোর খেলাধুলা বা বই পড়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তা পাচ্ছেন না তারা। বাস্তবে চা শ্রমিকদের কোন কাজে আসছে না কেন্দ্রটি।

গরীব চা শ্রমিক জীবনমান উন্নয়নের জন্য তাদের পরিবারের লোকজনে চিকিৎসার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো এই শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা কর্মচারীর অবহেলায় অচল অবস্থায়। এখানে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পদে নিয়োগ থাকা সত্ত্বে দেখা মিলেনি ৬ বছর ধরে তার। অত্র এলাকায় আর কোন স্থায়ী ডাক্তারও নেই। অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার সপ্তাহে ২ দিন এসে রোগী দেখার কথা থাকলেও এপর্যন্ত তার দেখা পায়নি একদিনও। তিনি ১৯৯৯ সাল থেকে দীর্ঘ দিন এই শ্রম কল্যাণ কেন্দের ডাক্তার হিসেবে যোগদান করেন।

ফুসকুড়ি বাগানের চা শ্রমিক বিজয় পাল, রাজিব বুনার্জি, পিংকু বুনার্জি, নিপেন বুনার্জি, মনি বুনর্জি, রিংন্কু বুনার্জি, মো: জরিন আহমদ, লিটন দাশ বলেন, আমরা চা শ্রমিক নিন্ম আয়ের মানুষ। ভাল ডাক্তার দেখানোর সামর্থ আমাদের নেই। শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রে আসি শিশু সন্তান নিয়ে। ডাক্তার পাওয়া যায় না। প্রায় দিনই বন্ধ থাকে। ডাক্তারের নামে নাম ফার্মাসিস্ট আমাদের মাঝে মধ্যে এসে অফিস খুলে ঔষধ দিয়ে কোথায় জানি চলে যান আর মিলে না তারও দেখা। সর্ব রোগের ঔষধ হিস্ট্রাসিন,প্যারাসিটামল,মেট্রিল আর কিছু এন্টিবায়োটিক। তাও এন্টিবায়োটিকের কোন মাত্রা নেই। শিশুদের ক্ষেত্রে যা, বড়দের ক্ষেত্রেও তা। এছাড়াও সংগঠক কবির আহমদ তার অফিসের কক্ষ কখনো খুলেন নি। যার কারনে খেলা ধুলা কিছু করা যায় না। এমনকি বই পড়ার খেলাধুলার সুযোগ থাকলেও শিক্ষিত ছেলে মেয়ে বই পড়া খেলাধুলা করতে পারেনি। কবির আহমদ এর ২ টি লেবু বাগান করেছে। সে সবসময় তার লেবু বাগানে নিয়ে ব্যস্থ থাকে। এছাড়াও শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের কোয়ার্টারে থাকার কারনে শ্রম কল্যান কেন্দ্রের বড় বড় গাছও গোপনে বিক্র করেছেন। বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সুনিল তাতীঁ বলেন, ডাক্তার নিবাস চন্দ্র পালের দেখা আমরা পাইনা। শুনেছি তিনি শ্রীমঙ্গলে শ্রম অধিদপ্তর অফিসে বসেন। এখানে তিনি অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন। এছাড়াও শ্রীমঙ্গল তার একটি পলিক্লিনিক পরিচালনা করেন। মাঝে মধ্যে ফার্মাসিষ্ট এখানে রোগী দেখেন। ঔষধের ৩৫/৩৬ টি আইটেমের পর্যাপ্ত পরিমান থাকলেও রোগীকে শুনতে হয় ঔষধ নাই। সংগঠক কবির আহমদ কোয়ার্টারে থাকলেও অফিস খুলেন নি একদিনও। সবসময় তার লেবু বাগানে সময় দেন।
এব্যাপারে শ্রম কল্যাণ সংগঠক কবির আহমেদ বলেন,অফিস আমি খোলা রাখিনা কথাটি সঠিক নয়। আর লেবু বাগান করা দোষের নয়। এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। তা হলে অফিসে সময় পাওয়া যায়না কেন? প্রশ্ন করলে কোন উত্তর দিতে পরেননি।

ডা: নিবাস চন্দ্র পাল বলেন, আমার প্রথম পোষ্টিং ফুসকুড়ি শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রে ছিল। আর আমি ফুসকুড়ি শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র যাইনা অভিযোগটি ঠিক নয়। বর্তমানে আমি অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি। সাপ্তাহে ২ দিন সেখানে যাই। আমাকে এই দায়িত্ব থেকে সরানোর জন্য বারবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি। আর কেন্দ্রে ১২ টি পদের বিপরীতে লোক আছে ২ জন। এই শূন্য পদে লোক নিয়োগের জন্য বারবার লিখেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ নিয়োগ না দিলে কি করবো। শ্রম কলয়াণ সংগঠক কবির আহমদের বিষয়ে আমি কোন অভিযোগ পাইনি। এখন বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। এব্যাপারে শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলামের সাথে বারবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে ফোন রিসিভ করেন নি তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর